INFO Breaking
Live
wb_sunny

Breaking News

ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী: ভারতের রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদা:

ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী: ভারতের রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদা:


ভারতীয় শাসনব্যবস্থা সংসদীয় এবং রাষ্ট্রপতিশাসিত শাসনব্যবস্থার সমন্বয়ে গঠিত হওয়ার ফলে এক অভিনব শাসনব্যবস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি তত্ত্বগতভাবে শাসন বিভাগের চূড়ান্ত কর্তৃত্বের অধিকারী হলেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত একটি ক্যাবিনেটের পরামর্শে পরিচালিত হন বলে কার্যত তিনি নিয়মতান্ত্রিক বা নামসর্বস্ব শাসক হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা:
রাষ্ট্রপতি-পদে নির্বাচিত হতে গেলে প্রার্থীকে অবশ্যই কতকগুলি যোগ্যতার অধিকারী হতে হয়। তাঁকে
  •  অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক।
  •  অন্তত ৩৫ বছর বয়স্ক।
  •  লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে [৫৮ (১) নং ধারা]। 
  •  কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার বা স্থানীয় সরকারি কর্তৃপক্ষের কোনো লাভজনকপদে তিনি অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না [৫৮ (২) নং ধারা]।
  •  ১৯৯৭ সালে প্রণীত একটি আইন অনুসারে রাষ্ট্রপতিপদে নির্বাচন-প্রার্থীর নাম অন্তত ৫০ জন নির্বাচক কর্তৃক প্রস্তাবিত এবং ৫০ জন নির্বাচক কর্তৃক সমর্থিত হতে হবে। তা ছাড়া, প্রত্যেক প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ১৫,০০০ টাকা জামানত রাখতে হয়।
ভারতের রাষ্ট্রপতি পদের কার্যকাল:
রাষ্ট্রপতি ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
  •  রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে।
  •  তাঁর মৃত্যু হলে।
  •  সংবিধানভঙ্গের অপরাধে পার্লামেন্ট তাঁকে পদচ্যুত করলে।
  •  আদালত নতুন রাষ্ট্রপতির নির্বাচন বাতিল করে দিলে কার্যকালের মেয়াদ পরিসমাপ্তির পূর্বেই রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হতে পারে।
আবার, রাষ্ট্রপতি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চাইলে তাঁকে নিজ হাতে পদত্যাগপত্র লিখে উপরাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিতে হবে।

ভারতের রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতি:
সংবিধানের ৫৬ নং ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতিকে সংবিধানভঙ্গের অপরাধে ৬১ নং ধারায় বর্ণিত 'ইমপিচমেন্ট' (inpeachment) পদ্ধতির মাধ্যমে পদচ্যুত করা যায়। পার্লামেন্টের যে-কোনো কক্ষই রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে প্রস্তাব আকারে সংবিধানভঙ্গের অভিযোগ আনতে পারে। যে-কক্ষে এরূপ অভিযোগ-প্রস্তাব আনীত হবে, সেই কক্ষের মোট সদস্যসংখ্যার অন্যূন এক-চতুর্থাংশের স্বাক্ষরিত লিখিত বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার অন্তত ১৪ দিন পরে প্রস্তাবটি আলোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কক্ষে উত্থাপন করা যায়। প্রস্তাবটি সেই কক্ষের মোট সদস্যসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের সম্মতিসূচক ভোটে গৃহীত হলে অপর কক্ষ অভিযোগটি সম্পর্কে অনুসন্ধান করে। এর পর সেই কক্ষেও প্রস্তাবটি অন্তত দুই - তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে গৃহীত হলে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা যায়। অবশ্য অনুসন্ধানের সময় রাষ্ট্রপতি স্বয়ং কিংবা তাঁর মনোনীত কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারেন।
উপরিউক্ত যে-কোনো কারণে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে ৬ মাসের মধ্যেই নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হয়। কিন্তু যতদিন নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না-হবেন, ততদিন পর্যন্ত উপরাষ্ট্রপতি অস্থায়ীভাবে রাষ্ট্রপতির কার্যাবলি সম্পাদন করবেন।
এইভাবে ১৯৭৭ সালে ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের মৃত্যুর পর উপরাষ্ট্রপতি বি. ডি. জাত্তি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে কার্য সম্পাদন করেছিলেন।
আবার, রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হওয়ার পর উপরাষ্ট্রপতির আকস্মিক মৃত্যু হলে কিংবা তিনি পদত্যাগ করলে অথবা অসুস্থতার জন্য কর্ম-সম্পাদনে অক্ষমতা জ্ঞাপন করলে সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি কিংবা তাঁর অনুপস্থিতিতে ওই কোর্টের বয়োজ্যেষ্ঠ (Senior-most) বিচারপতি সাময়িকভাবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে কার্য সম্পাদন করবেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতির বেতন ও ভাতা:
পার্লামেন্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির বেতন, ভাতা প্রভৃতি নির্ধারণ করতে পারে। বর্তমানে রাষ্ট্রপতির বেতন ৫,০০,০০০ ভারতীয় টাকা (৭,০০০ মার্কিন ডলার) প্রতিমাসে। এ ছাড়া, তিনি বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা পান। অবসর গ্রহণের পর কিংবা কার্যকাল পরিসমাপ্তির পূর্বে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে তিনি বার্ষিক পেনশন পেয়ে থাকেন। পদাধিকারবলে রাষ্ট্রপতি যেসব কার্য সম্পাদন করেন, তার জন্য তাঁকে আদালতের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। রাষ্ট্রপতিপদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যায় না। এমনকি, ব্যক্তিগতভাবে সম্পাদিত কোনো কাজের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করতে হলে অন্তত ২ মাস পূর্বে নোটিশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করতে হয়। এইভাবে কার্যত ভারতের রাষ্ট্রপতিকে আইনের ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া হয়েছে।

ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী:
সংবিধান অনুসারে, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রভূত ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর হাতে যে সকল ক্ষমতা ন্যস্ত আছে সেগুলি নিচে আলোচনা করা হলো:-

শাসন সংক্রান্ত ক্ষমতা:
ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হলেন কেন্দ্র সরকারের প্রধান। কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন সংক্রান্ত সকল কাজই রাষ্টপতির নাম সম্পাদিত হয় [৭৭ (১) নং ধারা]। ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেন দেশের সর্বোচ্চ শাসন বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। তিনি নিজে বা তাঁর অধীনস্থ কর্মচারীদের মাধ্যমে শাসন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন [৫৩(১) নং ধারা]।
রাষ্টপতির নিয়োগ সংক্রান্ত ও ব্যাপক ক্ষমতা আছে প্রধানমন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সকল সদস্য এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মচারী গণও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন।

আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা:
ভারতের রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় আইনসভা অর্থাৎ পার্লামেন্টের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। রাষ্ট্রপতি এবং দুটি পরিষদ নিয়ে ভারতের পার্লামেন্ট গঠিত হয় (৭৯ নং ধারা)। রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের অধিবেশন আহ্বান করতে কিংবা অধিবেশন স্থগিত এবং প্রয়োজনবোধে লোকসভা ভেঙে দিতে পারেন।
রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর ছাড়া কোনো বিল আইনে পরিণত হয় না। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের পাশ হওয়ার পর প্রত্যেকটি বিলকে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর এর জন্য পাঠাতে হয়। রাষ্ট্রপতি তাতে সম্মতি দিতেও পারেন আবার নাও দিতে পারেন।

অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা:
সংবিধান অনুসারে, প্রত্যেক আর্থিক বছরের জন্য রাষ্ট্রপতিকে আনুমানিক আয়-ব্যয়ের বাজেট পার্লামেন্টে পেশ করতে হয়। সাধারণত কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট পার্লামেন্টে পেশ করেন। রাষ্ট্রপতির সম্মতি ছাড়া কোনো ব্যায় মঞ্জুরী পার্লামেন্টে উত্থাপন করা যায় না।

বিচার সংক্রান্ত ক্ষমতা:
রাষ্ট্রপতির কিছু বিচারবিভাগীয় ক্ষমতা আছে। তিনি সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিযুক্ত করেন। ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত ব্যক্তির দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখতে, হ্রাস ও ক্ষমা প্রদর্শন করতে পারেন। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড রদ করে তিনি অন্য দিতে পারেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতির জরুরি সংক্রান্ত ক্ষমতা:
রাষ্ট্রপতির কতগুলি জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত ক্ষমতা রয়েছে। এই জরুরি অবস্থাকে দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য ভারতীয় সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে তিন ধরনের জরুরি দেওয়া হয়েছে যেগুলো তিনি ঘোষণা করতে পারেন। এগুলি হল:
  •  জাতীয় জরুরি অবস্থা (৩৫২ নং ধারা)।
  •  রাজ্য শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা (৩৫৬ নং ধারা)।
  •  আর্থিক জরুরি অবস্থা (৩৬০ নং ধারা)।

সামরিক ক্ষমতা:
রাষ্ট্রপতি হলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। তিনি স্থলবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানদের নিয়োগ করেন। জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিটির প্রধান হিসেবে তাঁকে কার্য সম্পাদন করতে হয়। ওই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা কিংবা শান্তি স্থাপন করতে পারেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতির ভেটো ক্ষমতা:
রাষ্ট্রপ্রধানের বিল বাতিল করার ক্ষমতাকে ‘ভেটো ক্ষমতা’ (Veto-Power) বলে। ভারতের রাষ্ট্রপতির ভেটো ক্ষমতার মধ্যে তিন ধরনের ভেটো ক্ষমতা আছে। এগুলি হল:
  •  পূর্ণাঙ্গ ভেটো।
  •  স্থগিতকারী ভেটো।
  •  পকেট ডেটো।
পূর্ণাঙ্গ ভেটো: অর্থ বিল ও সংবিধান সংশােধনী বিলের কথা বাদ দিলে পার্লামেন্টে পাস হওয়া যে-কোনো বিলে রাষ্ট্রপতি অসম্মতি জানাতে পারেন। রাষ্ট্রপতি অসম্মতি জানালে বিলটি বাতিল হয়ে যাবে। রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমতাকে পূর্ণাঙ্গ ভেটো ক্ষমতা বলে।

স্থগিতকারী ভেটো: সংসদে পাস হওয়া কোনাে বিল অনুমোদনের জন্য তার কাছে এলে তিনি সরাসরি সম্মতি না জানিয়ে বা অসতি জ্ঞাপন করে বিলটিকে পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরৎ পাঠাতে পারেন। রাষ্ট্রপতির এই ভেটোকে স্থগিতকারী ভেটো বলে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিলটি সংখ্যাগরিষ্ঠের ভােটে পাস হয়ে আবার রাষ্ট্রপতির কাছে আসে, তখন কিন্তু রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সম্মতিজ্ঞাপন করতে বাধ্য।

পকেট ভেটো: সংসদে কোনাে বিল গৃহীত হবার পর রাষ্ট্রপতির কাছে আসে। বিলে সম্মতি বা অসম্মতি জ্ঞাপন বা বিলটিকে পুনর্বিবেচনার জন্য পার্লামেন্টে ফেরৎ পাঠানাের ব্যাপারে সংবিধানে কোনাে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। সুতরাং, রাষ্ট্রপতি কোনাে বিলে সম্মতি বা অসম্মতি জ্ঞাপন না করে বা সংসদে ফেরৎ না পাঠিয়ে বিলটিকে অনির্দিষ্টকাল চেপে রাখতে পারেন। রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমতাকে পকেট ভেটো বলে।

ভারতের রাষ্ট্রপতির অন্যান্য ক্ষমতা:
উপরোক্ত কার্যাবলী ছাড়াও রাষ্ট্রপতিকে অন্যান্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদন করতে হয় যথা-
  •  অর্থ কমিশন সরকারি ভাষা কমিশন প্রভৃতির মত কমিশন নিয়োগ করা।
  •  পার্লামেন্টের সংশোধনী ক্ষমতার অধীনে থেকে যেকোনো অঞ্চলকে তপশিলি অঞ্চল কিংবা কোনো তপশিলি অঞ্চলকে অ-তপশিলি অঞ্চল বলে ঘোষণা করা।
  •  যেকোনো তপশিলি অঞ্চলের সীমানা পরিবর্তন করা।
  •  যে রাজ্যে তপশিলি অঞ্চল আছে সেই রাজ্যে একটি উপজাতি পরিষদ গঠনের জন্য নির্দেশ দেওয়া।
  •  জনস্বার্থের দিক থেকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কোনো আইনগত বিষয় সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শ গ্রহণ করা।

ভারতের রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদা:
ভারতীয় সংবিধানে রাষ্ট্রপতির প্রকৃত ভূমিকা ও পদমর্যাদা সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই, গণপরিষদে সংবিধান প্রণয়নের প্রাক্কালে বলা হয়েছিল যে, রাষ্ট্রপতি ইংল্যান্ডের রাজা রানির মতাে নিয়মতান্ত্রিক শাসকপ্রধানের ভূমিকা গ্রহণ করবেন। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মতানুসারে এদেশে মন্ত্রীপরিষদ-শাসিত শাসন ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব আরােপ করা হয়েছে। এবং সংসদীয় ক্ষমতা প্রকৃতপক্ষে মন্ত্রীসভা ও আইনসভার হাতে ন্যস্ত থাকে, রাষ্ট্রপতির হাতে নয়। রাষ্ট্রপতির প্রকৃত পদমর্যাদা এবং মন্ত্রীসভার সঙ্গে তার সম্পর্ক প্রসঙ্গে গভীর মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়েছে। একশ্রেণির সংবিধান বিশেষজ্ঞ তত্ত্বগতভাবে বলেন যে, রাষ্ট্রপতি হলেন দেশের প্রকৃত শাসক। কিন্তু বাস্তববাদী সংবিধান বিশেষজ্ঞরা অন্য মত পােষণ করেন। তাদের মতানুসারে রাষ্ট্রপতি হলেন নিয়মতান্ত্রিক শাসক প্রধান। ড. আম্বেদকর বলেছেন, 'ইংল্যান্ডের শাসন ব্যবস্থায় রাজা বা রানি যে পদমর্যাদা ভােগ করেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি সমমর্যাদাসম্পন্ন'।

ভারতের রাষ্ট্রপতির নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন☞ 

0 Comments:

Responsive

Ads

Here